বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় সরকারি এম বি কলেজ মাঠ উন্মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধ নির্মাণে সংরক্ষিত বনের বালু উত্তোলন, হুমকিতে সবুজ বেষ্টনী বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, উপকূলে গুমট পরিবেশ চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের রাস্তা সহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এলজিইডির টিম বাউফল নারীর বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাউফলে ৮দিনের অভিযানে ১৯ জেলে আটক, প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ মিটার জাল জব্দ বাংলাদেশ মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক পরিষদ বরিশাল মহানগরীর প্রতিনিধি সমাবেশ কলাপাড়ায় নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটায় এক লাখ টাকা জরিমানা কুয়াকাটা পৌর বিএনপির অফিস ভাংচুর মামালায়, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সহ ৪ জন জেল হাজতে ডাকাত বাহিনীর প্রধান ২০মামলার আসামী জুয়েল মৃধা গ্রেপ্তার  কলাপাড়ায় এইচএসসিতে মহিপুর  মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রী কলেজ এগিয়ে ৫ দিন পাঞ্জা লড়ে মৃ-ত্যুর কাছে হার মানলেন সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম উপকূলের শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিযোগিতা মহিপুরে অর্থের অভাবে অন্ধ হতে বসেছে শিশু তাওহিদ, সাহায্যের আবেদন
নির্মাণের ২ বছরেই হেলে পড়লো কালভার্ট

নির্মাণের ২ বছরেই হেলে পড়লো কালভার্ট

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি কালভার্ট দুই বছরের মধ্যেই হেলে পড়েছে। কালভার্ট হেলে পড়লেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

উল্টো ঠিকাদারের বিল পরিশোধ করে একইস্থানে নতুন আরেকটি কালভার্ট তৈরির প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাঞ্চনপুর পশ্চিমপাড়া এলাকায়।

জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কাঞ্চনপুর-নাটিয়াপাড়া ও হালুয়াপাড়া গ্রোথ সেন্টার থেকে কাজিরাপাড়া সড়কের পশ্চিমপাড়া এলাকায় এলজিইডির তত্ত্বাবধায়নে ১৩.১ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৫.৫ মিটার প্রস্থ কালভার্টটি নির্মাণ করে মেসার্স এসকে টিম্বার নামের ঠিকাদারি একটি প্রতিষ্ঠান।

কালভার্টটির ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল  কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর। কাজের শুরু থেকেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণের অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয়রা। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করায় দুই বছর যেতে না যেতেই গত বর্ষায় হেলে পড়েছে কালভার্টটি।

বর্তমানে কালভার্টটি পরিত্যক্ত। সম্প্রতি কালভার্টটি চলাচলের উপযোগী করার জন্য শিকল টেনে ও নানা দেশীয় পদ্ধতি ব্যবহার করেও সোজা করতে ব্যর্থ হয়েছে স্থানীয়রা। কালভার্টটি হেলে পড়ায় আগামী বর্ষায় ওই অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয়রা কালভার্টের পরিবর্তে বড় ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।

এদিকে একই সময়ে কালভার্টটির সঙ্গে ১৮০ মিটার পাকা সড়ক সংযুক্ত করে ৫৩ লাখ টাকা ব্যায়ে কাজটি করা হয়। এরই মধ্যেই সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে আবার মেরামতের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, এখানে একটি ব্রিজের খুবই প্রয়োজন ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কালভার্ট নির্মাণ করে। কালভার্ট নির্মাণ করার কারণে সেখানে নৌকা চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

কালভার্টটি গত বর্ষায় হেলে পড়েছে। বর্তমানে কালভার্টটি পরিত্যক্ত। এ অবস্থায় শিকল টেনে কালভার্টটি সোজা করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। এ এলাকায় কালভার্টের পরিবর্তে বড় একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে ভালো হত। বর্ষায় নৌকাও চলাচল করতে পারতো।

এ প্রসঙ্গে জানতে মেসার্স এসকে টিম্বার নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সুনিল বসাকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল আলম বলেন, একটি কালভার্ট ও ১৮০ মিটার পাকা সড়ক ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দুই বছরের মাথায় বন্যার পানির স্রোতে কালভার্টটি হেলে পড়েছে। কালভার্ট তৈরিতে কোন প্রকার অনিয়ম হয়নি। এখানে নতুন আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD